প্রিয় দর্শক এই ব্লগে সমাজের বিভিন্ন সম্পর্কের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হবে। প্রত্যেক সম্পর্কের মূল্য,গুরুত্ব কি তা বোঝানোর চেষ্টা করা হবে । তাই আশা করছি প্রত্যেকের কাছে এই ব্লগ টি খুব প্রিয় হবে। আমার নিজস্ব ধারণাটি আমি যেমন জানাব তেমনি আপনারাও আপনাদের নিজস্ব মতামত অবশ্যই জানাবেন। তাহলেই সম্পর্কের সম্পর্ক নিয়ে সঠিক তথ্যটি বেরিয়ে আসবে।সকলের সহযোগিতা কাম্য । ধন্যবাদ

Breaking

CLICK HERE......... your sayings.........

বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই, ২০২০

স্ত্রীকে নিয়ে পরিবার থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া..... কতটা যুক্তিযুক্ত ???

স্ত্রীকে নিয়ে পরিবার থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া..... কতটা যুক্তিযুক্ত ???




একটি পরিবারের নতুন বিয়ে হয়ে আসা মেয়েটি ভাবে সে সকলের অধীনে রয়েছে , তাকে সবার কথা মেনে চলতে হবে, সবার মন জয় করতে হবে, তার কোনো ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ হবে না। সে যদি আগে বাপের বাড়িতে সকাল 9 টায় ঘুম থেকে উঠত- এখন তাকে ভোর পাঁচটায় উঠতে হচ্ছে। নতুন বউটি  অবশ্যই ভাববে যে সে যদি আলাদা থাকত তাহলে সকাল পাঁচটায় না উঠলেও হতো ,একটু দেরি করে উঠলে হতো। সে দেরি করে উঠলেও নিজের কাজটি তাড়াতাড়ি সেরে নিতে পারত। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির পরিবারের সঙ্গে থাকলে তাকে সকালে উঠতে হচ্ছে কারণ অন্যরা যে তাড়াতাড়ি উঠে যাচ্ছে। সে যদি ঘুমায় তাহলে অবশ্যই তাকে  কথা শুনতে হবে। তাই মেয়েটি ভাবছে আলাদা হলেই বাঁচি। 

এখানে মেয়েটিকে অবশ্যই ভাবতে হবে যে  এখন তার বিয়ে হয়েছে, এখন তার উপর দায়িত্ব রয়েছে ।আর দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক ।তাই মেয়েটিকে সকলের কথা ভেবে , সঙ্গে নিজের কথা ভেবে ও সকালে উঠতে হবে ।


কোন দিন যদি রান্না করতে ইচ্ছে না হয় তবু তাকে রান্না করতে হয় ।মেয়েটিকে ভাবতেই পারে যদি সেই আলাদা থাকতো, তাহলে হোটেল বা রেস্টুরেন্ট থেকে ভালো ভালো খাবার  নিয়ে  বা খাবার  খেয়ে আসা যেত। কিন্তু শ্বশুর বাড়ির পরিবারের সঙ্গে থাকলে তার সেই ইচ্ছা পূরণ হয় না। তাই সে চাইবেই তার স্বামী যেন তার শ্বশুর বাড়ি থেকে আলাদা হয়ে যায়। তাই তাই শ্বশুরবাড়ির অন্যদের উচিত কোন কোন দিন তার বৌমা বা স্ত্রীকে হোটেল বা  রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়ার সুযোগ দিতে। যদি এই সুযোগ পাই তাহলে মেয়েটি  কোনদিনই চাইবে না  আলাদা হতে। 


এরপর যদি নতুন বিয়ে হয়ে আসা মেয়েটির উপর শ্বশুরবাড়ির লোকেদের ব্যবহার খারাপ হয়। মেয়েটিকে তারা যদি ভালবাসতে  না পারে,তাহলে আলাদা হওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। শ্বশুরবাড়ির লোকেদের ভাবতে হবে মেয়েটি তার বাবা-মাকে ছেড়ে এসেছে,যতটা সম্ভব তার সেই দুঃখ দূর করা ।বাবা ,মা ,ভাই, বোন এর জন্য মন খারাপ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।  তাই মেয়েটির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করা যাতে সে তার বাবা মা ভাই বোনদের জন্য মন খারাপ না করে।


একজন স্বামী তার স্ত্রীকে তার বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে আসে ।তাই একজন স্বামীর অবশ্যই পালনীয় কর্তব্য তার স্ত্রীর বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া। তার স্ত্রীর খেয়াল রাখা। স্ত্রীর অভাব-অভিযোগ দূর করা। কিন্তু যদি সেই স্বামী সেই গুলি পূরণ না করে,তাহলে অবশ্যই মেয়েটির মন খারাপ হবে। সে ভাববে যদি আমরা আলাদা হয়ে যায় ,তাহলে সে শুধু তাকেই নিয়ে ভাববে ,তাকে ভালবাসবে। এই আশা নিয়ে সে স্বামীকে বারবার বলবে আলাদা হওয়ার কথা। 


যদি কারো স্বামী অর্থবান হয়। অন্যদিকে পরিবারের অন্য সদস্যরা  যদি গরিব হয়। তাহলে স্ত্রী  অবশ্যই ভাববে যে যদি তার স্বামীকে নিয়ে এসে আলাদা হতে পারে তাহলে তার কিছু সঞ্চয় হবে। সে চাইবে না তার স্বামীর উপার্জিত অর্থ অন্য কারো জন্য ব্যয় হয়। মেয়েটি বাস্তববাদী হলে   অবশ্যই এটি করবে। সত্যিই জীবনে কেউ কারো নয়। তাহলে তার এই ভাবনার টি ও অমূলক নয়। 

একটি স্ত্রীকে মনে রাখতে হবে যে , সে আলাদা হলে সে যে রকম সুযোগ-সুবিধা পাবে ঠিক তেমনি তার অসুবিধা ও ঘটবে। একসাথে থাকলে যদি কোনদিন তার শরীর খারাপ হয় ,তাহলে অন্যরা তার কাজটি করে দেবে। কিন্তু আলাদা হলে কাজটিকে নিজেকে করতে হবে,তাতেই সে যতই অসুস্থ থাক না কেন! কোন আনন্দ একা উপভোগ করা যায় না - অন্যের সঙ্গে সেটি শেয়ার না করলে সেটি  উপভোগ করা যায় না। স্বামীর অনুপস্থিতিতে সে একলা বোধ করবে। কোন কোন স্ত্রী একাকীত্ব দূর করতে অসৎ পথের যাত্রী হয়। তাই একসঙ্গে থাকার এটি সুবিধা। একসঙ্গে থাকলে  একটি একজন স্ত্রী, বড়দের কাছ থেকে আচার-আচারণ ,নিয়ম শৃঙ্খলার ,রীতিনীতি ইত্যাদি শিখবে যেটিতে সে শুধু লাভবান হবে না, তার সাথে তার স্বামী ,ছেলে-মেয়েও লাভবান হবে।
তাই একসঙ্গে থাকাটা যেন একটা পরীক্ষা ,এই পরীক্ষার মাধ্যমে তুমি তোমার জীবনের পরবর্তী স্তরে উন্নীত হবে যা তোমাকে ভালো স্ত্রী, ভালো মা এমনকি ভালো শাশুড়ি তো পরিণত করবে। তাই সবদিক ঠিক থাকলে মেয়েদের উচিত একসঙ্গেই থাকা, তাতে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হলেও হতে হবে। 

স্বামীদের উচিত তার স্ত্রীকে বোঝা ।তার কোথায় অসুবিধা হচ্ছে তার খোঁজ নেওয়া ।তার অসুবিধা দূর করার চেষ্টা করা পরিবারের মধ্যে থেকেই। ।তা সম্ভব না হয় তাহলে সে আলাদা হতে পারে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

শিশুকে কী ভাবে ভালো অভ্যাস শেখাবেন :|How to Learn Good Habits to a Child

 শিশুকে কী ভাবে ভালো অভ্যাস শেখাবেন :  সন্তানকে মানুষের মত মানুষ করা করা একটি বিশাল দায়িত্ব প্রত্যেকটি বাবা-মার। আপনি আপনার সন্তানের ভবিষ্...