প্রিয় দর্শক এই ব্লগে সমাজের বিভিন্ন সম্পর্কের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হবে। প্রত্যেক সম্পর্কের মূল্য,গুরুত্ব কি তা বোঝানোর চেষ্টা করা হবে । তাই আশা করছি প্রত্যেকের কাছে এই ব্লগ টি খুব প্রিয় হবে। আমার নিজস্ব ধারণাটি আমি যেমন জানাব তেমনি আপনারাও আপনাদের নিজস্ব মতামত অবশ্যই জানাবেন। তাহলেই সম্পর্কের সম্পর্ক নিয়ে সঠিক তথ্যটি বেরিয়ে আসবে।সকলের সহযোগিতা কাম্য । ধন্যবাদ

Breaking

CLICK HERE......... your sayings.........

বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০২২

শিশুকে কী ভাবে ভালো অভ্যাস শেখাবেন :|How to Learn Good Habits to a Child

 শিশুকে কী ভাবে ভালো অভ্যাস শেখাবেন : 


সন্তানকে মানুষের মত মানুষ করা করা একটি বিশাল দায়িত্ব প্রত্যেকটি বাবা-মার। আপনি আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। তার ভবিষ্যৎ লক্ষ্যে পৌঁছাতে নানা কৌশল এর পরিকল্পনা করছেন, আপনার সন্তান শৈশবে যা শিখবে, সেটি সারাজীবন থাকবে। 


আপনার বাড়ির পরিবেশ সুন্দর করে তুলুন। প্রথমে আপনার শিশুকে দৈনন্দিন জীবনের প্রাথমিক কাজ গুলি যেমন দাঁত ব্রাশ করা, ঠিকমতো খাবার খাওয়া, ঠিক ভাবে হাত ধোয়া শেখাতে হবে ।এরপর খুব সাধারণ শিষ্টাচারগুলি শেখাতে হবে, যেমন ধন্যবাদ দুঃখিত কখন বলতে হবে । ভালো গল্পের বই বাচ্চার শোবার সময় পড়ুন ,এতে অনেক নৈতিকতা শিখবে। 


শিশু সাধারণত অনুকরণপ্রিয় হয় । আপনি কি বলছেন সেটি শুনে বাচ্চা শেখে না, বাচ্চা শেখে যেটা আপনি করছেন তা দেখে। সুতরাং আপনাকে আপনার শিশুর কাছে একজন আদর্শ মানুষ হতে হবে। একটি শিশু সবচেয়ে বেশি শেখে তার বাবা-মার কাছ থেকে , তাই আপনি আপনার শিশুর কাছে একজন রোল মডেল হন। 


আপনার সন্তানকে নেতিবাচক নামে ডাকবেন না। শিশুদের সব সময় উৎসাহসূচক ব্যবহার করতে হবে। শিশুদের সঙ্গে বন্ধুর মতো থাকবেন। আপনার শিশুর সকল কথা মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে। বাচ্চাদের তুলনা করবেন না, কারণ প্রতিটি শিশুই অনন্যা। তাই তাদের প্রশংসা করুন, তাদের প্রতিভা ও কৃতিত্ব দেখুন ব্যর্থতা নয়। বাচ্চাদের তাদের ভুল থেকে শিখতে উৎসাহিত করুন । শিশুকে শৈশব উপভোগ করতে দিন । বাচ্চারা আপনাদের বিরক্ত করবেন, কিন্তু তারা আপনাদের মনোযোগ চায় । 


প্রতিটি কাজের জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করতে হবে। খেলাধুলা, টিভি দেখা, পড়াশোনা- এইসব কাজের জন্য সময় ঠিক করুন। সময়ের নমনীয়তা রাখতে হবে অর্থাৎ শিশুর যদি কোন কাজ পরে করব বলে বা করব না বলে তাহলে তাকে করতে দিতে হবে। 



 আপনার শিশুকে তার ভালো কাজের জন্য পুরস্কৃত করতে হবে। কিন্তু পুরস্কার সবসময় যেন কোন বস্তু না হয়, যেমন খেলনা ,বল ইত্যাদি। শিশুকে প্রশংসা করা, তার সাথে কোথাও ঘুরতে যাওয়া, খেলতে যাওয়া, আলিঙ্গন করলেন ইত্যাদি পুরস্কারে পুরস্কৃত করুন।


বাচ্চাকে সত্যি কথা বলতে শেখাতে হবে। সত্যি বলতে অভ্যাস করাতে হবে। বাবা-মার সত্য কথা বলা উচিত । তার বাবা-মাকে দেখে বাচ্চা শিখে ।আপনি কি বলছেন সেটা শুনে বাচ্চা শেখে না, বাচ্চা শেখে যেটা আপনি করছেন। 


বাচ্চাকে প্রশ্ন করতে উৎসাহিত করতে হবে। আমরা বলি বড়দের সঙ্গে তর্ক করো না, কিন্তু ছোটরা প্রশ্ন না করলে শেখে না।ছোটদের প্রশ্ন করাতে উৎসাহিত করতে হবে। বড়দের কাছে সঠিক ভাবে প্রশ্ন করা শেখাতে হবে। 


কোন জিনিস লড়াই করে পাওয়া গেলে, সেটার গুরুত্ব বোঝা যায়। বাচ্চা কোন জিনিস চাইলেই, তাকে সঙ্গে সঙ্গে দেবেন না ।একটি খেলনা পাওয়া জন্য একটি বাচ্চা বায়না করছে, সেটা বাবা-মা সহজেই দিয়ে দিলে খেলাটির প্রতি গুরুত্ব কমে যায় । যেমন বাচ্চার খিদে লাগলে তবেই খাবারটির গুরুত্ব থাকে। কিন্তু খাবারটি খেতে চাইছে না, আপনি জোর করে খাইয়ে যাচ্ছেন, তাহলে বাচ্চাদের খাবারের প্রতি গুরুত্ব কমে যায় ।


আপনি আপনার শিশুর বন্ধু হন যাতে আপনাকে সবকিছু শেয়ার করতে পারে। ওর স্কুলে কি ঘটেছে , কোন বন্ধু ভালো বা কোন বন্ধু খারাপ ইত্যাদি জানুন। আপনি যতই ব্যস্ত হননা কেন, ওকে সময় দিন। আপনার সন্তানের সাথে বন্ধুত্ব করুন এবং যেখানে প্রয়োজন সেখানে কঠোর হোন। 


আপনার শিশুকে কোনটি ভালো, কোনটি খারাপ শেখান । কোনটি খারাপ এবং কেন খারাপ বা কোনটি ভাল এবং কেন ভালো সেটাও ওকে বোঝাতে হবে। 


শিশুদের নিয়মিত আলিঙ্গন করতে হবে। তাহলে তারা আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। শিশুদের ছোট ছোট দায়িত্ব পালন করতে শেখান। যেমন শিশুদের তার নিজের খেলনা নিজেদের সাজিয়ে রাখতে শেখাবেন। 


আপনার সন্তানের সামনে কখনোই খারাপ শব্দ ব্যবহার করবেন না। এতে শিশু ভুল জিনিস শিখবে। যেসব শিশুরা বাড়িতে সঠিক পরিবেশ পায় না, তারা বড় হয়ে হিংস্র হয়ে ওঠে। 


বাচ্চাকে সঠিক খাবার গ্রহণ শেখাতে হবে। বাইরের মুখরোচক খাবার যে তাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক সেটা বোঝাতে হবে। বাইরের খাবার দীর্ঘদিন ধরে থেকে স্বাস্থ্য জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। 

পারিবারিক নৈশভোজে বাচ্চাদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস গড়ে ওঠে। এতে একদিকে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে এবং পরিবারের সাথে বেশি যোগাযোগ গড়ে ওঠে। 


ভালো মানুষ হয়ে উঠতে বাচ্চাদের ভালোবাসা, উপলব্ধি ও যত্ন প্রয়োজন। শিশুরা যা করতে পারে না তা শুনতে পছন্দ করে না। তার পরিবর্তে তারা কি করতে পারে তা বলুন। 



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

শিশুকে কী ভাবে ভালো অভ্যাস শেখাবেন :|How to Learn Good Habits to a Child

 শিশুকে কী ভাবে ভালো অভ্যাস শেখাবেন :  সন্তানকে মানুষের মত মানুষ করা করা একটি বিশাল দায়িত্ব প্রত্যেকটি বাবা-মার। আপনি আপনার সন্তানের ভবিষ্...